Recent comments

G.K. Chesterton
CAPPP

Stan Berkowitz and Darwyn Cooke
bro, PROOF READ

Unknown
LOL that funny

kjjjjjjj
Did you forget to edit out the last sentence lmao

Fuller
*possession* should be the word. a type error.

More

simanta's quotes

All quotes

By Simanta - পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
মানুষের সৌভাগ্যের মূলে রয়েছে তার পরিশ্রম। এ পরিশ্রমের ফলেই সাধিত হয়েছে বিশ্বের সামগ্রিক উন্নতি এবং মানুষ নিত্য নতুন আবিষ্কার করছে, বিভিন্ন জিনিসপত্র। পরিশ্রম এবং চেষ্টা দ্বারা যে কোন কর্মেরই সুফল পাওয়া যায়। পরিশ্রম না করলে কোন জাতি তথা কোন দেশ উন্নতির দিকে এগুতে পারেনা। বর্তমানে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছে চীন এবং জাপান। চীনা এবং জাপানীরা তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা বর্তমান বিশ্বে শিল্প এবং অর্থনীতির দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে আছে। আমাদের জীবন সংক্ষপ্তি এবং ক্ষণস্থথায়ী।

বাংলার সৌন্দর্য: - বাংলার সৌন্দর্য by simanta
গ্রাম বাংলার রূপে বিমুগ্ধ রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের এ স্বীকারোক্তিতেই প্রতীয়মান হয় বাংলার গ্রামীণ সৌন্দর্য। গ্রামকে বাদ দিয়ে বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কোন চিহ্নসূত্রই থাকবে না। গ্রাম প্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। তই বাংলার যে দিকে দৃষ্টিপাত করি না কেন চোখে পড়ে শ্যামল শোভাময় সবুজ অরণ্যানী। কোখাও বা মাঠের পর মাঠ আর সোনালী পাকা ধানের শোভা দৃশ্যমান। সেই ধানের ক্ষেতে যখন মৃদুমন্দ হাওয়া বয়ে যায়, তখন নাবযৌবনা কুমারীর মতই কলহাস্যে নেচে দুলে ওঠে সেই স্বর্ণ রূপিনী ধানের ক্ষেত।.

কাজী নজরুল ইসলাম - আমি হব সকাল বেলার পাখি by simanta
আমি হব সকাল বেলার পাখি সবার আগে কুসুম বাগে উঠব আমি ডাকি। সুয্যি মামা জাগার আগে উঠব আমি জেগে, হয়নি সকাল, ঘুমোও এখন মা বলবেন রেগে। বলব আমি ঘুমিয়ে তুমি থাক, হয়নি সকাল, তাই বলে কি সকাল হবে নাক.

(উৎসঃ উইকিপিডিয়া) by simanta - কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালের ২৪শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজও করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে গিয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, সংগীতস্রষ্টা, দার্শনিক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম সাহিত্যিক, দেশপ্রেমী এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি।.

By Simanta - বন্যেরা বনে সন্দর; শিশুরা মাতৃক্রোড়ে
সৃষ্টিজগতে সবকিছুই নিজ নিজ পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতায় স্বাভাবিক সৌন্দর্যে অনুপমতা পায়। পরিবেশের সঙ্গে থাকে তার স্বাভাবিক ও স্বচ্ছন্দ সম্পর্ক। পরিবেশগত বৈশিষ্ট্যের অনুষঙ্গেই বিকশিত হয় তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। পরিবেশ-বিচ্ছিন্ন হলে তার সে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ম্লান হয়ে হয়ে যায়। মানব জীবনে পরিবেশের প্রভাব অসামান্য। বিচিত্র পরিবেশ মানব জীবনে ফেলেছে বৈচিত্র্যময় প্রভাব। অরণ্যচারী মানুষ অরণ্যক জীবনেই পায় স্বতঃস্ফূর্ত স্বাচ্ছন্দ।.

By Simanta - ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ
মানুষের যথার্থ মনুষ্যত্বের পরিচয় তার ভোগ-লালসার মাধ্যমে প্রকাশ পায় না। পরের জন্যে ত্যাগের মাধ্যমেই মানুষের মনুষ্যত্বের মহত্ত্ব ফুটে ওঠে। নিজের জীবনকে ভোগবিলাসিতায় নিমজ্জিত রাখার মধ্যে হয়তো মাদক আনন্দ পাওয়া যায়, তাতে জীবনের প্রকৃত সুখ ও সার্থকতা আসে না। বরং পরের মঙ্গলের জন্যে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে পারলে প্রকৃত মানবোচিত সুখ অনুভব করা যায়। বস্তুত, পরের জন্যে স্বার্থ ত্যাগ করার মধ্যেই মানুষের মানবিক গুণাবলির শ্রেষ্ঠ প্রকাশ ঘটে।.

জসীমউদ্দীন by simanta - প্রতিদান
আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর। যে মোরে করিল পথের বিবাগী; পথে পথে আমি ফিরি তার লাগি; দীঘল রজনী তার তরে জাগি ঘুম যে হয়েছে মোর; আমার এ ঘর ভাঙ্গিয়াছে যেবা, আমি বাধি তার ঘর। আমার একুল ভাঙ্গিয়াছে যেবা আমি তার কুল বাধি, যে গেছে বুকেতে আঘাত হানিয়া তার লাগি আমি কাঁদি; সে মোরে দিয়েছে বিষ ভরা বান, আমি দেই তারে বুক ভরা গান; কাটা পেয়ে তারে ফুল করি দান সারাটি জনম ভর, আপন করিতে কাদিঁয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর ।.

জহির রায়হান by simanta - সময়ের প্রয়োজনে – জহির রায়হান
প্রথম প্রথম কাউকে মরতে দেখলে ব্যথা পেতাম। কেমন যেন একটু দুর্বল হয়ে পড়তাম। কখনো চোখের কোণে একফোঁটা অশ্রু হয়তো জন্ম নিত। এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছি। কী জানি, হয়তো অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে, তাই। মৃত্যুর খবর আসে। মরা মানুষ দেখি। মৃতদেহ কবরে নামাই। পরক্ষণে ভুলে যাই। রাইফেলটা কাঁধে তুলে নিয়ে ছোট্ট টিলাটার ওপরে এসে দাঁড়াই। সামনে তাকাই। বিরাট আকাশ। একটা লাউয়ের মাচা। কচি লাউ ঝুলছে। বাতাসে মৃদু দুলছে। কয়েকটা ধানক্ষেত। দুটো তালগাছ। দূরে আরেকটা গ্রাম। খবর এসেছে ওখানে ঘাঁটি পেতেছে ওরা।.

জহির রায়হান by simanta - সময়ের প্রয়োজনে – জহির রায়হান
প্রথম প্রথম কাউকে মরতে দেখলে ব্যথা পেতাম। কেমন যেন একটু দুর্বল হয়ে পড়তাম। কখনো চোখের কোণে একফোঁটা অশ্রু হয়তো জন্ম নিত। এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছি। কী জানি, হয়তো অনুভূতিগুলো ভোঁতা হয়ে গেছে, তাই। মৃত্যুর খবর আসে। মরা মানুষ দেখি। মৃতদেহ কবরে নামাই। পরক্ষণে ভুলে যাই। রাইফেলটা কাঁধে তুলে নিয়ে ছোট্ট টিলাটার ওপরে এসে দাঁড়াই। সামনে তাকাই। বিরাট আকাশ। একটা লাউয়ের মাচা। কচি লাউ ঝুলছে। বাতাসে মৃদু দুলছে। কয়েকটা ধানক্ষেত। দুটো তালগাছ। দূরে আরেকটা গ্রাম। খবর এসেছে ওখানে ঘাঁটি পেতেছে ওরা।.

জহির রায়হান by simanta - সময়ের প্রয়োজনে
কিছুদিন আগে সংবাদ সংগ্রহের জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অগ্রবর্তী ঘাঁটিতে গিয়েছিলাম। ক্যাম্প-কমান্ডার ভীষণ ব্যস্ত ছিলেন। সেই ব্যস্ততার মুহূর্তে আমার দিকে একটা খাতা এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনি বসুন। এই খাতাটা পড়ুন বসে বসে। আমি কয়েকটা কাজ সেরে নিই। এরপর আপনার সঙ্গে আলাপ করব। খাতাটা হাত বাড়িয়ে নিলাম। লাল মলাটে বাঁধানো একটা খাতা। ধুলো, কালি আর তেলের কালচে দাগে ময়লা হয়ে গেছে এখানে-ওখানে। খাতাটা খুললাম। মেয়েলি ধরনের গোটা-গোটা হাতে লেখা। মাঝেমধ্যে একটু এলোমেলো। আমি পড়তে শুরু করলাম।.

simanta - আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে
"যখন তিনি গেলেন চাকরির ইন্টার্ভিউ দিতে তখন তাকে বলা হল তিনি চাকরি করার যোগ্যতা রাখেন না!! তার দক্ষতার অভাব রয়েছে ! কথাগুলো শুনে তিনি রাগ করেননি কিংবা ভেঙ্গেও পড়েননি; তবে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নিজেকে প্রমাণ করবেন, প্রমাণ দেবেন যে চাকরিদাতাদের কথাগুলো ভুল"!! আর ঠিক করলেনও তাই । নিজেই প্রতিষ্ঠা করলেন কোম্পানি ! নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়েই বানাতে লাগলেন নিত্য নতুন মডেলের গাড়ি যার ব্রান্ড নাম "হোন্ডা" যার প্রতিষ্ঠাতা হলেন হার না মানা "সইচিরও হোন্ডা"।.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর by simanta - আমাদের ছোট নদী
আমাদের ছোটো নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তার হাঁটু জল থাকে। পার হয়ে যায় গোরু, পার হয় গাড়ি, দুই ধার উঁচু তার, ঢালু তার পাড়ি। চিক্ চিক্ করে বালি, কোথা নাই কাদা, একধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা। কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক, রাতে ওঠে থেকে থেকে শেয়ালের হাঁক। আর-পারে আমবন তালবন চলে, গাঁয়ের বামুন পাড়া তারি ছায়াতলে। তীরে তীরে ছেলে মেয়ে নাইবার কালে গামছায় জল ভরি গায়ে তারা ঢালে। সকালে বিকালে কভু নাওয়া হলে পরে আঁচল ছাঁকিয়া তারা ছোটো মাছ ধরে।.

জসীম উদ্দিন by simanta - নিমন্ত্রণ – জসীম উদ্দিন
তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, গাছের ছায়ায় লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়; মায়া মমতায় জড়াজড়ি করি মোর গেহখানি রহিয়াছে ভরি, মায়ের বুকেতে, বোনের আদরে, ভাইয়ের স্নেহের ছায়, তুমি যাবে ভাই - যাবে মোর সাথে, আমাদের ছোট গাঁয়, ছোট গাঁওখানি- ছোট নদী চলে, তারি একপাশ দিয়া, কালো জল তার মাজিয়াছে কেবা কাকের চক্ষু নিয়া; ঘাটের কিনারে আছে বাঁধা তরী পারের খবর টানাটানি করি; বিনাসুতি মালা গাথিছে নিতুই এপার ওপার দিয়া; বাঁকা ফাঁদ পেতে টানিয়া আনিছে দুইটি তটের হিয়া।.

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর by simanta - সোনার তরী – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা। কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা। রাশি রাশি ভারা ভারা ধান-কাটা হল সারা, ভরা নদী ক্ষুরধারা খরপরশা- কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা॥ একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা- চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা। পরপারে দেখি আঁকা তরুছায়ামসী-মাখা গ্রামখানি মেঘে ঢাকা প্রভাতবেলা- এপারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা॥ গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে! দেখে যেন মনে হয়, চিনি উহারে। ভরা পালে চলে যায়, কোনো দিকে নাহি চায়, ঢেউগুলি নিরুপায় ভাঙে দু ধারে- দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে॥.

কাজী নজরুল ইসলাম by simanta - আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে- মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে আজ সৃষ্টি-সুখির উল্লাসে। আজকে আমার রুদ্ধ প্রণের পল্বলে - বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার-ভাঙ্গা কল্লেলে। আসল হাসি, আসল কাঁদন মুক্তি এলো, আসল বাঁধন, মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে। ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে - আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে! আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস, ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস, গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!

কাজী নজরুল ইসলাম - মানুষ by simanta
গাহি সাম্যের গান- মানুষের চেয়ে কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান, নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি, সব দেশে, সল কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি। 'পূজারী, দুয়ার খোল, ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হলো!' স্বপ্ন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয় দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ'য়ে যাবে নিশ্চয়! জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ ডাকিল পান্থ, 'দ্বার খোল বাবা, খাইনি তো সাত দিন!' সহসা বন্ধ হ'ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে, তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুদার মানিক জ্বলে!

কাজী নজরুল ইসলাম - বিদায় বেলায় by simanta
তুমি অমন ক'রে গো বারে বারে জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না, জল-ছল-ছল চোখে চেয়ো না। ঐ কাতর কন্ঠে থেকে থেকে শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না, শুধু বিদায়ের গান গেয়ো না। হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা, আজো তবে শুধু হেসে যাও, আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না। ঐ ব্যথাতুর আঁখি কাঁদো-কাঁদো মুখ দেখি আর শুধু হেসে যাও,আজ বিদায়ের দিনে কেঁদো না। চলার তোমার বাকী পথটুকু- পথিক! ওগো সুদূর পথের পথিক- হায়, অমন ক'রে ও অকর"ণ গীতে আঁখির সলিলে ছেয়ো না, ওগো আঁখির সলিলে ছেয়ো না।।.

কাজী নজরুল ইসলাম - ঈশ্বর by simanta
কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে' কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে? হায় ঋষি দরবেশ, বুকের মানিকে বুকে ধ'রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ। সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে, স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে! ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া, দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প'ড়েছে তাঁহার ছায়া। শিহরি' উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক'রো না ক' বীর, ভয়- তাহারা খোদার খোদ ' প্রাইভেট সেক্রেটারী' ত নয়! সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!

কাজী নজরুল ইসলাম - নারী by simanta
সাম্যের গান গাই- আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই! বিশ্বে যা-কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী। নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা' করে নারী হেয়-জ্ঞান? তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান। অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে, ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে। এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল, নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।.

জীবনানন্দ দাশ - এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি by sim@nta
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি - আমি হৃষ্ট কবি আমি এক; - ধুয়েছি আমার দেহ অন্ধকারে একা একা সমুদ্রের জলে; ভালোবাসিয়াছি আমি রাঙা রোদ, ক্ষান্ত কার্তিকের মাঠে - ঘাসের আঁচলে ফড়িঙের মতো আমি বেড়ায়েছি - দেখেছি কিশোরী এস হলুদ করবী ছিঁড়ে নেয় - বুকে তার লাল পেড়ে ভিজে শাড়ি করুন শঙ্খের মতো ছবি ফুটাতেছে - ভোরের আকাশখানা রাজহাস ভরে গেছে নব কোলাহলে নব নব সূচনার: নদীর গোলাপী ঢেউ কথা বলে - তবু কথা বলে, তবু জানি তার কথা কুয়াশায় ফুরায় না - কেউ যেন শুনিতেছে সবি।.