উইলিয়াম শেক্সপিয়র
- বন্ধুত্ব
কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না।.
প্লেটো
- কথা-বার্তা
কথা-বার্তায় ক্রোধের পরিমান খাবারের লবনের মত হওয়া উচিত। পরিমিত হলে রুচিকর, অপরিমিত হলে ক্ষতিকর।.
রিনময়
- সাপ্তাহিক বাবা ৯
অবশ্য কোথাও বেড়াতে গেলে সেই খাতা আমি সঙ্গে নিয়ে যেতাম না। পাছে হারিয়ে যায়! বা কেউ যদি সিক্রেট পড়ে ফ্যালে! আমি তো কখনোই কাউকে বুঝতে দিতে চাইতাম না, আমার মন কখন খারাপ হয়, কখন আমি কোয়ার্টারের জানলা দিয়ে ইউক্যালিপটাস গাছে বসে থাকা পাখি দেখি! আমি আসলে চাইতাম না, কেউ আমার ভিতরের আমিটাকে চিনুক বা জানুক। আমার মনে হত, ওইটুকু জায়গা শুধু আমার একার। আর কেউ সেখানে আসবে না। তাই পুজোর ছুটি, গরমের ছুটিতে নানার বাড়ি বা দাদার বাড়ি বেড়াতে গেলে সে খাতা আমি শহরেই রেখে যেতাম।.
ফিরোজ
- গন্তব্য ও ভাগ্য
সবার গন্তব্য আর গন্তব্যপথে বাধাবিপত্তি তুলনামূলকভাবে একই। তোমার ভাগ্য নির্ভর করবে, তুমি হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিবে নাকি পূর্ণোদ্দমে ঘুরে দাঁড়াবে তার উপর।.
ভাবসম্প্রসারণ
- অভাব অল্প হলে দুঃখও অল্প হয়ে থাকে।
মানবজীবন ছোট হলেও মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। একটা অভাব পূরণের সাথে সাথে মানুষের জীবনে অন্য একটি অভাব দেখা দেয়। কিন্তু কোনো মানুষের পক্ষেই জীবনের সব অভাব পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে এই অপূরণীয় অভাবের সাথে সাথে তার জীবনে দুঃখবোধ সৃষ্টি হয়। অভাব যত বাড়ে অপূর্ণতা ততই ভিড় করে। সেই অপূর্ণতা দুঃখকে আরও ঘণীভূত করে। সভ্যতার উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের অভাববোধও বাড়ছে। প্রতিদিনই মানুষের জীবনে নতুন নতুন অভাব সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে তার না পাওয়ার কষ্টও ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কারণ এসব অভাব পূরণ করা মানুষের পক্ষে প্রায়ই.
ভাব-সম্প্রসারণ
- জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো।
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী মানুষকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়। তখন পিছনে পড়ে থাকে তার ভালো-মন্দ সব ধরনের কাজ। কাজ ভালো হলে বহু কাল যাবৎ মানুষ তা মনে রাখে। আর কাজ খারাপ হলে যুগ যুগ ধরে সকলে তার নিন্দা করে। বংশমর্যাদার উপরে এইসব সুনাম বা দুর্নাম নির্ভর করে না। বংশে কেউ একজন সুনাম করলে সেই বংশের মর্যাদা বাড়ে। তবে তার অর্থ এই নয় যে, এই মর্যাদা চিরস্থায়ী। কেননা, একই বংশে কোনো কুলাঙ্গার জন্ম নিলে সেই মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হতে পারে।.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- করুণা
আমি যাহা মনে করিয়াছিলাম তাহাই হইয়াছে। নরেন্দ্র যে কিরূপ লোক তাহা এতদিনে পাড়ার লোকেরা টের পাইল, আর হতভাগিনী করুণাকে যে কষ্ট পাইতে হইবে তাহা এত দিনে তাহারা বুঝিতে পারিল। কিন্তু পণ্ডিতমহাশয় দুয়ের কোনোটাই বুঝিলেন না। করুণা আজকাল কিছু মনের কষ্টে আছে। মনের উল্লাসে বিজন কাননে সে খেলা করিবে, বক্ষে করিয়া লইয়া পাখির সঙ্গে কত কী কথা কহিবে, কোলের উপর রাশি রাশি ফুল রাখিয়া পাদুটি ছড়াইয়া আপন মনে গুনগুন করিয়া গান গাইতে গাইতে মালা গাঁথিবে, যাহাকে ভালোবাসে তাহার মুখের পানে চাহিয়া চাহিয়া অস্ফুট আহ্লাদে.
জাহিন যাঈমাহ্ কবির
- ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন
ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক । তবে ভারতে প্রথম রেলগাড়ির প্রচলন শুরু হয় ১৮৫৩ সালের দিকে। মুম্বাইয়ের বোরি বন্দর থেকে ট্রেনটি যাত্রা করে থানের উদ্দেশে। সহজ করে বললে মূলত সে সময়কার বম্বে থেকে থানে পর্যন্ত ছিল এর যাত্রাপথ। তবে ১৯২৫ সালে অবিভক্ত ভারতের রেল ব্যবস্থায় আসে বিরাট পরিবর্তন। সে বছরের আজকের দিন অর্থাৎ ৩ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালু হয়।.
সংগৃহীত
- সময়
আমাদের জীবন সংক্ষিপ্ত। কিন্তু আমাদের অনেক কিছু করার থাকে। মানবজীবন কিছু মুহূর্তের সমষ্টি মাত্র। তাই এক মুহূর্তও আমাদের অকারণে নষ্ট করা উচিত নয়। সময় নষ্ট করার অর্থ জীবনকে সংক্ষিপ্ত করা। সময় ও জোয়ার-ভাটা কারও জন্য অপেক্ষা করে না।.
সংগৃহীত
- সময়ানুবর্তিতা
সময়ানুবর্তিতার চর্চা করে একে অভ্যাসে পরিণত করতে হয়। শৈশবকাল থেকেই বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে এই গুণ অর্জন করতে হয়। শৈশব হচ্ছে বীজ বপনের সময়। এ সময়ে গড়ে ওঠা অভ্যাসই আমাদের মধ্যে সারা জীবনে বজায় থাকে। আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত "যথাসময়ে যথা কাজ।"
ভাবসম্প্রসারণ
- অর্থ সম্পদের বিনাশ আছে কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না।
মানুষ যখন থেকেই সভ্যতা নির্মাণ করার শুরু করেছে তখন থেকে অর্থের গুরুত্ব বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান সভ্যতার মাপকাঠিতে অর্থ একটি বড় ব্যাপার। অর্থ দিয়েই মূলত আমরা সমাজে মানুষের অবস্থান এবং গ্রহণযোগ্যতা পরিমাপ করে থাকি। বিত্তবান হিসেবে সমাজে পরিচিত হওয়াটাও অনেকের কাছে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু এই বিত্ত-বৈভব, ধন-সম্পদ যেকোনো মুহূর্তে হারিয়ে যেতে পারে। আমীর পরিণত হতে পারে ফকিরে। কিন্তু জ্ঞান এমন এক সম্পদ যা কোনদিন বিনষ্ট হয় না। একজন জ্ঞানী চিরদিনের জন্য জ্ঞানী। কিন্তু একজন ধনী চিরদিন ধনী নাও থাকতে প.
প্রথম আলো
- দেশে দেশে কেন এত বিক্ষোভ ?
এখন ঘোর বিক্ষোভের কাল। বৈরুত থেকে বাগদাদ, হংকং থেকে প্যারিস, সান্তিয়াগো থেকে দিল্লি, সাওপাওলো থেকে তেহরান, সব জায়গাতেই বিক্ষোভ হয়েছে। নতুন শতকের দ্বিতীয় দশকটা বিক্ষোভের সময় হিসাবেই ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নেবে। শুরুটা হয়েছিল তিউনিসিয়ায়। সবাই এর নাম দিয়েছিল আরব বসন্ত। এরপর বিক্ষোভের বসন্ত কেবলই দীর্ঘায়িত হয়েছে। এই বসন্তের বাতাসে বৈষম্য ও অসাম্যের রোদন। ফ্রান্সে এ সপ্তাহেও বিক্ষোভ হয়েছে।.
কালীপ্রসন্ন ঘোষ
- পারিব না একথাটি বলিও না আর
পারিব না একথাটি বলিও না আর কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার, পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার একবার না পারিলে দেখ শতবার।.
সংগৃহীত
- ধনসম্পদ
জীবনে সুখের জন্য নিঃসন্দেহে ধনসম্পদ প্রয়োজন। কিন্তু এই ধনসম্পদ মুষ্টিমেয় ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হওয়ার একটা প্রবণতা থাকে। এর ফলে ধনী হয়ে ওঠে আরও ধনী, আর দরিদ্র হয়ে ওঠে আরও দরিদ্র। এটা অবশ্যই ধনের অপব্যবহার। সমাজের বৃহত্তম অংশের সুখস্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির জন্য ধনসম্পদের ন্যায্য বন্টন প্রয়োজন।.
রিনময়
- সাপ্তাহিক বাবা ১১
ওদিকে দাদার বাড়ি, সে আমার বাবার বড় হয়ে উঠবার জায়গা। তাই বাবার মুখেই বাবার ছোটবেলাকার গল্প শুনতাম বেশি। আর যখন সুযোগ পেতাম যাওয়ার, তখন খুব কাছ থেকে ছুঁয়ে আসতাম বাবার ছোটবেলা। রেখে আসতাম নিজের ছোটবেলার স্মৃতিও। সেখানে বাড়িটা রাস্তা লাগোয়া। দুপুরবেলা খাওয়াদাওয়া সেরে শুয়ে শুয়ে দেখতাম, দরজার ফাঁক দিয়ে আলো এসে ঘরের ভিতরের দেওয়ালে পড়ছে। আর রাস্তায় যারা হেঁটে বা সাইকেলে চলে যাচ্ছে, অথবা আইসক্রিমওয়ালা যখন তার গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে চলে যাচ্ছে পাড়ার ভিতর, তখন সেই ছায়া এসে পড়ছে আলোর উপর।.
রিনময়
- সাপ্তাহিক বাবা ১০
নানার বাড়ির দোতলা পাকা বাড়িটার উঠোন পেরিয়ে ছিল মাটির একটা বাড়ি। মায়ের কাছে শুনেছি, পাকা বাড়ি হওয়ার আগে নাকি সেই মাটির বাড়িটাই ছিল মায়েদের একমাত্র মাথা গোঁজবার ঠাঁই । তো সেই বাড়িটা ছিল আমার খুব প্রিয়। খড়ের চালায় কত যে চড়ুই পাখি বাসা বেঁধে থাকত, তার ঠিক নেই। সারাটাদিন তাদের কিচিরমিচির ডাক। ঘরের ভিতরে যে পশ্চিম দিকের জানলা ছিল, সেখান থেকে উঁকি দিলেই দেখা যেত একটা পুকুর। পুকুরের ধারে ধারে জমত শ্যাওলা। দু একটা পদ্ম ভেসে থাকতো জলে।.